মে ৯, ২০২৩
কলারোয়ায় তীব্র গরমে ডায়রিয়ার প্রকোপ, হাসপাতালে শয্যা সংকট
নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়া হাসপাতালে হঠাৎ করেই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালে দুই দিনে গড়ে ২৫ জন ডায়রেয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। অন্যদিকে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের একটি ওয়ার্ড পুরাটাই ডায়রিয়া ওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়েছে। রোগী ভর্তি আছেন ৬২ জন। আবার কেউ কেউ চিকিৎসাপত্র নিয়ে বাড়িতে রয়েছেন। সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডাক্তারের চেম্বারে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, তীব্র গরম এবং রমজানের পর পবিত্র ঈদুল ফিতরে খাওয়ার অনিয়মের কারণে এ সমস্যা হতে পারে। জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরেই কলারোয়ার ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ। এ মৌসুমে কলারোয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি হয়েছে। বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় অসহনীয় গরমে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। চিকিৎসকরা বলছেন, ফুড পয়জনিং জনিত কারণে মূলত ডায়রিয়া দেখা দেয়। মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়ার জন্য আলাদা ওয়ার্ড করা হয়েছে। দোতলার দুইটি ওয়ার্ডে অন্যান্য রোগীর পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওয়ার্ডে বেড খালি না থাকলেও রোগীকে ফ্লোরেও তীব্র গরমের মধ্যে চিকিৎসা দিতে দেখা গেছে। হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ শামিমা জানান, ঈদের পরের থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২য় তলার দুটি ওয়ার্ডে সব শয্যায় রোগী ভর্তি আছে। এমনকি ফ্লোরে রোগীও রয়েছে। উপজেলার কামারালী গ্রামের স্বপ্না বলেন, হঠাৎ রবিবার সকাল থেকে পেটের ব্যথা ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। হাসপাতালে একদিন ভর্তি থেকে পরামর্শ নিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছি। আমার বড় বোনও অসুস্থ হয়ে সোমবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে স্যালাইন ও চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: শফিকুল ইসলাম বলেন, তীব্র গরম ও রোজার পর হাই প্রোটিন খাওয়ার জন্য ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়তে পারে। আমরা রোগীদেরকে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি সকলকে বাঁশি, পঁচা ও ভাঁজি পোড়া খাদ্য খাবার পরিহার করার পরামর্শ প্রদান করেছেন। 8,592,124 total views, 3 views today |
|
|
|